ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

রামুতে ছুরিকাঘাতে যুবক হত্যা, ঘাতককে পুলিশে দিলো জনতা

সোয়েব সাঈদ, রামু ::  রামুতে যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় রামুর বাইপাস সংলগ্ন খাদ্য গুদামের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হারুন অর রশিদ (৩৫) চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের মমতাজুল হকের ছেলে। ঘটনার পরপরই স্থানীয় জনতা ছুরিকাঘাতকারি ঘাতক ইব্রাহীমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। আটক ইব্রাহীম (৩৮) কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের উত্তর লরাবাঘ এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।

রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল খায়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত হারুন রশিদ উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। তবে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এছাড়া ছুরিকাঘাতকারি ইব্রাহীমকে আটক করা হয়। তবে জনতার পিটুৃনিতে আহত হওয়ায় তাকেও হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের সদস্য মামলার প্রক্রিয়া চলাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ঘাতক ইব্রাহীম কয়েক বছর পূর্বে রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের দংদিঘীর পাড় এলাকার মৃত আমির হোছনের মেয়ে রোজিনা আকতারকে বিয়ে করেন। সম্প্রতি রোজিনা আকতার সাতকানিয়ার বাসিন্দা হারুন অর রশিদের সাথে সম্পর্কে জড়ান। সন্ধায় হারুন অর রশিদকে সাথে নিয়ে রোজিনা আকতার রামুতে পৈত্রিক বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রামুর বাইপাস হয়ে চৌমুহনী যাওয়ার সময় রোজিনার স্বামী ইব্রাহীম তাদের গতিরোধ করে এবং আকষ্মিকভাবে হারুন অর রশিদের দেহে একাধিক ছুরিকাঘাত করে। এসময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। ঘটনার পরই ইব্রাহীম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে জনতা তাকে ধাওয়া করে আটক করে এবং তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

তবে এনিয়ে নিহতের পরিবারের কারো সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। ঘাতক ইব্রাহিম ও তার স্বজনদেরও কাউকে কথা বলার জন্য পাওয়া য়ায়নি। ফলে তাৎক্ষণিক দু’পক্ষের কারো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

পাঠকের মতামত: